সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর


আমার কী দায়
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

আমার কী দায় ! স্বয়ম্ভু নই আমি। আসিনি তো নিজ ইচ্ছেয়।

মুনীঋষি ভাবনার অতল তলের গোপন ব্যাখ্যায় জানি সত্য, জন্মদাতা/দাত্রীর আকাঙ্খায় থাকলেও আনেনি তারাও। ছক্কামারা লটারী এ জীবন কিংবা স্ট্যাটিসটিকসের প্রবাবিলিটি।

আনন্দ বুদবুদের নেশায় দুঃখখোসা ছাড়াতে ছাড়াতে পাড়ি তো দিয়েছি এতোটা পথ।

হুট করেই চলে যাব । কোথায় যাব ! আদৌ কি যাব ! কাফন ঠিকরে বেরিয়ে আসবে শুধুই আমলনামা। তারপর ধুসর একদিন।
---






দৃষ্টিতে বিভ্রম
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

সেই কবে থেকে ঝুলে থাকা মাইলফলকে চোখ বুলিয়ে খুঁজে চলেছি পায়ের ছাপ ...

অন্বেষণে অন্বেষণে বুড়ো বটগাছের শেকড় বিস্তৃতি, ঘ্রাণে ভেসে আসে অন্ধফকিরের হেঁয়ালি গানের অলীক।

টুকরো টুকরো হয়ে ক্বলব ছুঁয়ে যায় বিগব্যাং পূর্ব আজানের সুর; দৃষ্টিতে বিভ্রম, সত্য-মিথ্যে মিশে একাকার।
----






নারী তুমি জাদু জানো
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

হলপ করেই বলছি আমি, স্বয়ং প্লেটোও হেরে যেতেন যুবাকালে তোমার দেখা পেলে, রিপাবলিকে কবি ও কবিতা বাতিলের স্পর্ধা না দেখিয়ে প্রেমাচ্ছন্নে তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে একের পর একে লিখে যেতেন অমর সব কাব্যগাথা।

তুমি জাদু জানো হে নারী, অবেলাতেও মিউ মিউ করছে আমার সকল লজিক।

হেরে গেছি প্রমীলার কাছে। তাতে কী! শেষটায় আমিই জয়ী।
---






নেশাখোর
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

একজন সুখি মহিলার রতিলীলায় ভাসান দিয়ে মুছে ফেলতে চেয়েছিলাম ব্যক্তিগত সব দুঃখের খতিয়ান।

হাতড়াতে হাতড়াতে চলে এসেছি রেড-জোনে, আমাকে আশ্বস্ত করে এক বেশ্যা রমণী হাতে তুলে দিলো এক পেয়ালা মদিরা,"বন্ধু, সুরার নেশায় ওমর খৈয়াম আজো ঘোরে আছে কবর খোয়ারে। নেশা জাগাও দেহে ও মনে, কীসের দুঃখ, কীসের বিলাপ! আমাকে দ্যাখো, নেশায় নেশায় কাটিয়ে দিচ্ছি পিচ্ছিল জীবন। সুখি হতে চাও নেশাখোর হও।"

এরপর থেকেই আমি নেশাখোর সুখি মানব।
--






চলে যাওয়া
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর

যাওয়ার সময় কমবেশী ঢেউ খেলে যায়। আমি দেখছি শোকবায়ুতে ঢেকে যাওয়া তোমাদের মুখ। নিশ্চিত, অচীরেই বদলে যাবে বিষাদমুখ, যতই গাঢ় হোক না চুম্বকটান।

গুডবাই বন্ধুরা। ছায়াপথে অশরীরি আমি যাচ্ছি উড়ে উড়ে। রিমান্ডের ধান্ধায় থাকুক বসে মুনকার নাকির।